ফখরুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুনি ও আওয়ামী লীগকে খুনির দল বলে আখ্যায়িত করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় বিএনপির ভার প্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সিএমএম আদালত।
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হক এই পরোয়ানা দেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন একই আদালত। আদালতের নিদেশ অনুযারী হাজির না হওয়া এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি এস এম নূর-ই-আলম সিদ্দিক ঢাকা সিএমএম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
ওইদিন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিদেন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ১৫ ডিসেন্বর ঘটনার সত্যতা আছে বলে প্রতিবেদনে দাখিল করে পুলিশ। ১৭ ডিসেন্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদেরে উদ্দেশে শেখ হাসিনাকে খুনি ও তার দল আওয়ামী লীগকে খুনির দল বলায় এ মামলা করেন এসএম নূর-ই-আলম সিদ্দিক।
ওই সময় মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নিজেই খুনি। তার দল আওয়ামী লীগ খুনের দল। শতশত তরুণ যুবকের রক্তে তার হাত রঞ্জিত। আওয়ামী লীগ সরকার আর পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে কোনো তফাৎ নেই।”
এমন সংবাদ পরের দিন পত্রিকায় প্রকাশ হয়। বাদী পত্রিকা পড়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে মারাত্মকভাবে হতবাক হন।
বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন, এ বক্তব্যের ফলে শেখ হাসিনার মানসম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সেই সঙ্গে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে খুনির দল বলে মন্তব্য করায় অত্র মামলার বাদীর সংগঠন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সভানেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত, সামাজিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় দাবি করেন।
এ জন্য বাদী দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০ ধারায় বর্ণিত অপরাধে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুবিচার দাবি করেছেন বাদী।
প্রতিক্ষণ/এডি/বাবর